প্যারিস: এবারের অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম পদক জিতলেন মানু ভাকের। শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন মানু ভাকের। প্রথম মহিলা শ্যুটার ভারতের, যিনি অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে পদক জিতলেন। ২২১.৭ স্কোর করে ফাইনালে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নিলেন মানু। সোনা ও রুপো জিতলেন কোরিয়ার ২ শ্যুটার। ২১ তম শটের শেষে ০.১ পয়েন্টে এগিয়ে দু’নম্বরে ছিলেন মনু। ২২ তম শটে ১০.৩ স্কোর করেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার শ্যুটার ১০.৫ স্কোর করে মনুকে টপকে যান। সোনাজয়ী কোরিয়ার শ্যুটার ওহ ইও জিন ২৪৩.২ স্কোর করেন। যা অলিম্পিক্সের মঞ্চে বিশ্বরেকর্ড। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোরিয়ার কিম ইয়ে জি ২৪১.৩ স্কোর করেন।
জন্ম হরিয়ানার ঝাজ্জরে। শ্যুটিং নয় বক্সিং আর কুস্তির জন্যই যে জায়গা বিখ্যাত। ছোটবেলায় কিন্তু টেনিস, বক্সিং আর স্কেটিংই ছিল ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ১৪ বছর বয়সে বদলে গেল সবকিছু। ভালবেসেই হাতে তুলে নেওয়া পিস্তল। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টিন এজ থেকেই সাফল্যের শৃঙ্গে। সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে সোনা জেতেন শ্যুটিং বিশ্বকাপে। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও ২০২২ এশিয়ান গেমসেও ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে জেতেন সোনা। টোকিও অলিম্পিক্স থেকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। সাফল্য এল প্যারিসে। যদিও মাত্র ০.১ পয়েন্টের জন্য রুপোর পদক হাতছাড়া হল মানুর। যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব থেকে ফাইনালে যে আটজন জায়গা করে নিয়েছিল। সেখানে তৃতীয় হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন মানু। ফাইনালেও শেষ করলেন তৃতীয় স্থানে থেকেই।
ফাইনালের শুরু থেকে দশের কম স্কোর করছিলেন মানু। ফলে কিছুটা চাপ বাড়ছিল। শুরুতেই প্রায় সাতটি শটে দশের কম স্কোর করেন। ৯.৫ স্কোরও করেছিলেন একটি শটে। প্রথম স্টেজ একেবারেই ভাল যায়নি মানুর। তবে দ্বিতীয় স্টেজে নিজের পারফরম্য়ান্স আরও উন্নতি করেন। শেষ দুটো শটে মানুর থেকে অনেকটাই ভাল শট মারেন। কিম ইয়েজি শেষ শটে ১০.৫ স্কোর করেন, সেখানে শেষ শটে মনু স্কোর করেন ১০.৩। সেখানেই পিছিয়ে যান রুপোর লড়াই থেকে।
এদিকে মানুর পদক জয়ের দিনেই ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনালে পৌঁছলেন রমিতা জিন্দাল। এক নয় অবশ্য দুই দুই ভারতীয় শ্যুটারের ফাইনালে পৌঁছনোর সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কিন্তু যেখানে রমিতা শেষের দিকে দুরন্ত পারফর্ম করে ফাইনালে পৌঁছলেন, সেখানে শেষ রাউন্ডে ভরাডুবি এলাভেনিল ভালারিভানের। চূড়ান্ত হতাশ করলেন তিনি।